5th December, 2020 | | 0
মায়া—ভোজবিদ্যার দীর্ঘ কবিতাসিরিজ,
মনে হয় মেঠোপথ, আসলে সে অন্তবীজ।
তুমি তাকে—
একটা কোকিলডাক লিখে পাঠাও
মেঘফল ঝরে গেলে—যাক,
ওফল মিষ্টি হলেও—মাটিতে লুটাও।
যে যাই বলুক, হাত থেকে ফের
বলটা পড়ে গেলে ভেবো না
পৃথিবী ছাড়া কোনো চিন্তা নেই আমাদের।
কোথাও শিসমূলক নিলুয়া কুশল নেই
পাথরে জেগে আছে ঘুম—সকৌতুকে।
গুম হওয়া মৌসুমে
বুকে আকাশ বুনে কারা যেন মাটি চাপড়ায়;
আহা! গড়িমসি হাওয়া…
বেদনায় জ্বলে উঠে নীল পাখিটির বাড়ি;
যেন অসুর বাজাচ্ছে বাঁশি—
কসুরের কেশখোলা উচ্চতর হাসি দেখে
চুপসে য়ায় সমুদ্রের ফেনা।
বিয়োগ ব্যথার দেনা হইহই করে বাড়ে;
তবুও টুকে রাখি গানের গজল—সপুস্তকে।
কবিতা কে? কবিতাকে ডাকতে গিয়ে লাই দিয়ে ফেলেছি নদীর স্রোতে, উদীয়মান আকাশের মন। সকালের সাথে মেলাতে চেয়েছি, সুগন্ধিময় ফুল ফোটার আওয়াজ। অতঃপর একটা সূর্যোদয় হাতে নিয়ে হেসেছি, খেলেছি, তামাশাও করেছি। মূলত লুকাতে চেয়েছি অন্ধকার।
কবে—কখন জড়িয়েছি এই গল্পে? মনে নেই। মন সর্বদাই বিজ্ঞপ্তি প্রিয়…
তুমি শরীর সর্ম্পকীয় রেলওয়ে অনুপাত কিংবা অনুযোগ মিথ্যা প্রমাণ করে বাক্য বদলানো বাতাসে ওড়ো; উড়াও তোমার চন্দ্রমাখা ব্যঞ্জনার কুড়ো।
অদ্ভুত বেদনার কাছে সদ্য চাকরি হারানো মনের মধ্যে কবিতারঙের হরেক ফুল ফুটে আছে, তুমি তার সবিশেষ ভালোবাসা নিও।
সমন্ধের শতঘাস হেঁটে এসেছে প্রশস্ত উঠোন। আগবাড়ির দিকেই হাত বাড়িয়ে নুয়ে আছে গল্পগাছ, হারানো পাতার সবুজ।
শাশ্বত বৃষ্টির করতালি বেয়ে আমরা সমুদ্রে পৌঁছাই। সেখানকার মুখরোচক অনেক জলই অপার হতে চায়। আমার হাতে তার কোনো প্রেসবিজ্ঞপ্তি নাই। জলের ম্যুরাল খুঁড়ে তাই কুড়িয়ে নিই শামুকসকাল। মিউচুয়াল জোছনায় যে কয়টি পাতকুয়া দেখিয়ে গেছে গৃহস্থের সম্ভবনা! তার সবই কপালের ভাঁজে জমে ওঠা ক’ফোটা শীতকাল…!
এখন চশমা পায়ে হাঁটি। চোখ ও চশমার গোধূলি জুড়ে পা ভেঙে পড়ে আছে পলাশপুরের শুকনো দুপুর।
একটা তেলাকুচাপাতা, নিজেকে বটগাছ ভেবে বসে আছে। মাঝদুপুরে হাওয়া এসে বকা দিয়ে যায়। অভিমত ঝুলে পড়ে অপরাধের দিকে?
অপরাধ একটা সার্কাসের দেশ। এখানে প্রজারা সব রাজা হতে আসে। ফুল নয়, ভালোবাসে তার গান। স্বপ্নের ভেতর লিরিক্যাল ঘুড়ি উড়ায়। অপেক্ষার আপেলচূড়ায় বসে—
পৃথিবীকে ভেবে বসে বারমিসের জুতো
অন্যরা মেঘের অধীন বোবিনকাটা সুতো।
একথা সবাই জানে, আপনি কেন জানলেন না হে বৃষ্টিপ্রিয় গাছ! উজানে ঢল হলে—লাফিয়ে উঠে গাঙচরের মাছ—ফোকাস যে দিকেই যাক, গমের দানার মতো হাসতে হাসতে উঠোনে গড়ায়…।
আপনি এখন কাঁচাডিম সিদ্ধ করে খান। পাবলিক আপনারে শুঁটকি মাছের ঝোল বানাতে চায়। আপনি কী রাজি আছেন হে তেলাকুচার পাতা!
জন্ম—সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায়
তরুণ কবি ও সমালোচক
এখনো কোন বই প্রকাশ হয়নি