রবার্ট হাস তুমুল জনপ্রিয় এবং বহুল পঠিত সমকালীন আমেরিকান কবি। পহেলা মার্চ, ১৯৪১ সালে আমেরিকার ক্যালিফের্নিয়ার সানফ্রান্সিসকোয় জন্মগ্রহণ করেন। সফল কবির পাশাপাশি তিনি একজন সমালোচক এবং অনুবাদক হিসেবেও সমানভাবে আলোচিত। সমালোচকরা তার প্রকাশভঙ্গির স্বচ্ছতা, সংক্ষিপ্ততা এবং চিত্রকল্পের জাদুময়তা তুমুলভাবে উদযাপন করেন, যা আমাদের প্রাত্যাহিকতার ক্যানভাস থেকেই অঙ্কিত।
কবি ফরেস্ট গ্যান্ডার বলেছেন,
“হাস জাপানি হাইকুর প্রতি তার নিজস্ব মনোচিন্তার বিকার্য করেছেন এবং তাঁর সৃজন একইভাবে নিখাদ ও স্বচ্ছতার সঙ্গে কোটিডিয়ান জীবনের অভিব্যক্তি-নামা।“
নিউইয়র্ক টাইমস বুক রিভিউতে ক্যারোলিন কাইজার লিখেছেন যে,
‘হাস এতটাই মেধাবী যে, তাঁর কবিতা বা গদ্য পড়তে পড়তে বা তাঁর কথা শোনাতে শোনাতে দার্শনিকের মতো প্রত্যেককে প্রায় নন্দনের ঘোরে নিখোঁজ করে দেয়।”
হাসের ধারণা যে, “কবিতা বেঁচে থাকার একটা বিশেষ প্রণালি”। আমরা যেমন শিল্পীর মতো মমতার সঙ্গে রুটি তৈরি করি বা বাস্কেটবল খেলি, তেমনই একটি রোজকার ও মানবিক ক্রিয়া।
১৯৭৩ সালে তার প্রথম গ্রন্থ ফিল্ড গাইড প্রকাশিত হয়, যা ইয়েল সিরিজ অফ ইয়ং পয়েটস অ্যাওয়ার্ড অর্জন করে। জাপানি ভাষায় রচিত কবিতার ক্ষুদ্রতম সংস্করণ হাইকুর অনুবাদ দ্য এসেনশিয়াল হাইকু : ভার্সন অফ বাশো, বুসন অ্যান্ড ইসা নব্বই দশকের মাঝামাঝি সময়ে প্রকাশিত হলে আমেরিকান পাঠকদের কাছে ঐতিহ্যবাহী জাপানি কবিতার স্বপ্ন ও সৌন্দর্যময়তার স্ফূরণ জাগিয়ে তোলে।
তিনি ইউনাইটেড স্টেটস পয়েট লিটারেচার, ন্যাশনাল বুক অব অ্যাওয়ার্ড ও পুলিৎজারসহ বিবিধ পুরস্কার অর্জন করেছেন। প্রাকৃতিক জগতের নিবিড় মনোযোগী, মানুষের আনন্দ ও বেদনার গভীর সংবেদনশীল এই কবির দীর্ঘায়ু কামনা করছি।
মাকড়সা, নিরাশায় বুঁজো না চোখ,
আমি সেই অনার্য প্রহরী—
বিনাশ জানি না।
নববর্ষের ভোর যেন
প্রস্ফূটিত সবুজ কুঁড়ি!
কেবল রক্তে টের পাই—একঘেঁয়েমির দৌড়।
তুষার ঝরছে
আর শিশু মুসার মতো
জলমগ্ন দেহাত।
বাইরে যায়,
ফিরেও আসে—
এই তো বিড়ালের প্রেম।
আমার চারপাশে—
গুনগুন করে মশারা,
আমি কি বুঝি না?
সান্ধ্য জ্যোৎস্নার তাঁবুতে
অপহরণ হয় শম্বুক
নাভি অব্ধি।
পোকারাও প্রেমিকের মতো—
কেউ কেউ ব্যাঞ্জণা তুলতে পারে,
কেউ কেউ পারে না।
বুদ্ধের মতো সারাক্ষণ
ধ্যানমগ্ন আমি—
পতঙ্গ হত্যায়।
নিদ্রিত দুপুর;
কে আছো—
কয়েদ করো আমাকে!
তরুণ লেখক
জন্ম : ১৯৮৭ সাল, রংপুর।
প্রকাশিত বই দুইটা।
এক. ওকাবোকা তেলাপোকা (২০১৬) -শিশুতোষ
দুই. এলিয়েনের দেশ পেরিয়ে (২০১৭)-শিশুতোষ।