17th July, 2020 | | 4
ঝড়ের রাত তবে ভ্রষ্ট অভিসার
সব কেবল আলোধ্বস্ত ভোরের বাস্তব।
এই মওতের মহল্লার কোনদিকে
তোমার কান্নার কোষাগার?
পথঘাট ঠাহর না হয়।
গানের রেখা ধরে দেখি
গির্জা ঘুম যায়;
জেগে থাকে যা কিছু
যাজিকার ঘ্রাণ।
এইবেলা আমার জন্য এমনকি
নিষিদ্ধ থাকুক স্বেদসৌরভও।
পেরিয়ে এলাম
এজিদের ধাম, রাবণ-মোকাম।
যত বাড়িঘর, ইমারত
বন্ধ দরোজায় ধাক্কা দিতে না দিতে
লাশের জানলায়
ডাক দিয়ে যায়
মিউটিনি, মধুবালা আর উপরে
আকাশ অংশত মেঘলা।
রৌদ্রের সংবাদ এ তল্লাটে
প্রসিদ্ধ প্রমাদ।
আর এ-তো জানাশোনা কথা।
রাতের রুমাল দিনে হয় বেড়াল,
বেড়ালের গলায় বাঁধে কে ঘন্টা?
যে বাঁধে সে আর যে-ই হোক
আমি না—তা তো নিশ্চিত।
তারপরও অনেক সূর্যের আশা
হাজার তারার হাতছানি!
আমরা—যার জন্ম একটা সংখ্যা
মৃত্যু একটা সংখ্যা
মাঝখানের বেঁচে থাকা রেজিস্টার খাতা
আবর্তক বা রাজস্ব খাতে
ন্যস্ত আমাদের আয়ু।
রাক্ষসের রাজনীতি মেনে নিয়ে নিয়তি,
মানুষই সেই হাবাহদ্দ প্রাণি
পরির বাচ্চা পয়দা হওয়ার
অপেক্ষায় থাকি।
অপোগণ্ড শিশু কোলে নিয়ে
ফিরে ফিরে অপেক্ষা ফের
কখন ফুটবে তার
কথামালা-কমল।
অথচ কী আদরে-সোহাগে
গেঁথে তুলেছি বোবা বিনুনি; সময়বেণির।
নাচের মুদ্রা
মড়ক-মহামারিমাখা
শতকের শ্রেষ্ঠ গীতিকবিতা।
কবিতার কারখানা,
ছন্দের কারবার—সব বন্ধক রেখেও কি জুটবে
উজাড় আসন্নের
একমুঠো আহার!
ইত্যাকার নন্দনের বোধ
শুকিয়ে আসে
মানুষের নিদারুণ শবাধারে।
অসময়ে গাছ থেকে
কুয়াশা ঝরে।
ঝরা হিম গো
আমি তোর হারানো রিমঝিম।
চেনা চোখে চাপা পড়ে
অচেনা ফুলের প্রেম।
পরিণতিকামী প্রেমের পাখা ভেঙে দেখি
ভেসে যাওয়ার নাম এই গ্রহে
নিমজ্জন নয় শুধু, বজ্জাতি বড়ো।
আমার লিঙ্গের অমিয় উত্থান
সমাজ-সংসারের সমূহ পতন।
তবু পৃথিবীজোড়া
সেক্স আর
অবিরাম কবিতার ক্লাস
কবিতা লেখার আগেই
যেখানে লেখা হয় কবির কবর,
পারলৌকিক প্রসাদের পঙক্তিমালায়
আপাতত করতে হবে
সফেদ ও সাফ
এখনও শ্বাস নেওয়ার
গাঢ় অপরাধ।
মরণের পর কি দরকার মিলাদ
জীবনই যখন কুলখানি-চেহলাম।
সফরের শেষ থাকলেও
শুরু হয়েও হয়না শুরু,
কাল রাতে বৃষ্টি হয়ে গেছে
গাছের ডালটা এলিয়ে আছে
বিহঙ্গব্যাকুল বারান্দাতে,
পাখিদের কিচিরমিচিরেও
আছে ক্লাইম্যাক্স।।
দূরের জংলায়, সন্ধ্যায়
পাড়ার ছেলেরা দেখেছে
বিশ্বযুদ্ধের ভূত।
রা-স্বা
কোনোক্রমে এই যাত্রায়
টিকে থাকার একটা কারিগর
ঠিক করতে পারলে হয়।
আসুন, বসুন। বসবেন কোথায়?
আসবাব দিয়েছি রক্তের রোদে।
আপনার জন্য
তাজা ঘাসের সবুজাভ সোফা।
তারপর কী খবর বলুন
বাড়িতে সব ভাল তো,
অন্ত্যমিল, অমিল?
খেয়ে যাবেন কিন্তু
কান্না রান্না হচ্ছে
রাঁধুনির সামনে ক্ষুধার্ত রেসিপি
মন মন তোমার শরীর নাই শশী?
কুসুমে আর কতকাল
ব্যর্থ হবে কানন!
শরীরবৃক্ষের বেদিতে
না জ্বলে যদি
বিনাশের বিষদীপ,
সকল আলোকবর্ষ
মহিমা হারায় তবে।
দৌড় দৌড় জীবনপুরের মাঠ
দৌড়বাহার।
তা তোমার স্কোর কত, কবি?
এই পয়েন্ট নিয়ে
পারবে না পাড়ি দিতে
স্বর্গের সিঁড়ি
পাবে না এমনকি
জাহান্নামের পাসপোর্ট।
আমি তো নেহায়েত একটা
নিভে আসা মোম খুঁজছিলাম;
অবসিত আগুনের স্মরণে সনেট—
তার পোড়া পঙক্তি থেকে
ছাইয়ের মুকুটে মুড়ে
তোমার হাতে তুলে দেব
প্রিয় এই প্রলাপের পুরী।
দারুণ মুগ্ধতা
ভালোবাসা, প্রিয় কবি।
সমাজ আর জীবনের নানা প্রেক্ষিত নিয়ে সাবলীল গতিময় চমৎকার কবিত।
সমাজ আর জীবনের নানা প্রেক্ষিত নিয়ে সাবলীল গতিময় চমৎকার কবিতা।
খুব সুন্দর কবিতা!